মেন্দিবাগে নারীর হুমকিতে জীবন শঙ্কায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবার
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:২২ মিনিটনগরের মেন্দিবাগে এক নারীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য প্রবাসী একটি পরিবার। এমনকি সম্পত্তি দখল ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিতে রয়েছে তারা।
গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেন্দিবাগ এলাকার বাসিন্দা মরহুম আব্দুল সত্তারের বড় ছেলে মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক। আমার মা ও ভাইবোনকে নিয়ে আমরা ব্রিটেনেই বসবাস করি। এবার মাকে নিয়ে দেশে বেড়াতে এসে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছি।’
আমজাদ বলেন, ‘আমার বাবা দেশেই বসবাস করতেন। তাকে দেখাশোনা করা ও রান্নাবান্নার জন্য আমরা গৃহ পারিচারিকা হিসেবে একটি মেয়েকে রেখেছিলেন। এই মেয়েই এখন আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায় বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চায় সে। এমনকি আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলতে নানা রকম হুমকি দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা আব্দুল সত্তার গত ২৬ মে মারা যান। উনার মৃত্যুর পর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি তার ঋণ রয়েছে। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে এই ঋণ পরিশোধ করতে এবং আমার বাবার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির দেখাশোনা করতে মাকে নিয়ে সম্প্রতি দেশে এসেছি।’
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমজাদ আরও বলেন, ‘দেশে এসেই বুঝতে পারি আমার বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। বাবার নামে মেন্দিবাগ পয়েন্টের সত্তার ম্যানশন এবং অন্যান্য বাসার ভাড়া আনতে গেলে জানতে পারি আমাদের বাসার কাজের মেয়ে তাহমিনা নিজেকে বাবার স্ত্রী দাবি করে ভাড়া আদায় করে নিচ্ছেন। এমনকি বাবার নিয়োগকৃত ম্যানেজার দুলাল নিজের সুবিধার জন্য তাহমিনাকে সহযোগিতা করছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘দুলাল এবং তাহমিনা নিজেদের দল ভারী করার জন্য চাচা আখতার, জনৈক তুহিন আহমদ এবং বাবার চাচাতো ভাই শরিফ ও কয়েছকে ম্যানেজ করে ভাড়ার টাকা লুটেপুঠে খাচ্ছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর মোস্তাককেও তারা নিজেদের পক্ষে নিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দুই ভাই, এক বোন এবং আমার মা এখনো জীবিত রয়েছেন। বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে তাহমিনা গং চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রের কারণে এবং অব্যাহত হুমকির কারণে আমরা ভীতসন্ত্রস্ত।’
তাহমিনা নিজেকে স্ত্রী দাবি করলেও তার কাছে নাকি কোনো কাবিননামা নেই বলে জানান আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সে নাকি তার বিয়ে হয়েছে আমার বাবার সাথে। তার দুটি সন্তানও নাকি রয়েছে। এসবের কোন কিছুই আমাদের জানা নেই। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি আরও দাবি করেন, শ্রমিক নেতা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা সবার সঙ্গে সখ্যতার কারণে তাদের প্রভাব খাটিয়ে তাহমিনা সম্পত্তি ভোগ দখল করতে চায়।
আমজাদ বলেন, ‘এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এবং ওই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে গত ১২ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার মা দেশে এসে মারাত্মক অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছি এবং চরম নিরাপত্তাহীণতায় রয়েছি।’