আইডিএলসি-প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৮:৩০ মিনিটশনিবার বেলা সাড়ে চারটায় সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেটে আইডিএলসি-প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় সিলেট আঞ্চলিক উদ্যোক্তা বৈঠক । এতে অন্তত দুই শতাধিক উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংক কর্মকর্তা ও সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ ও সাবেক পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরী, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি লুবনা ইয়াসমিন ও পরিচালক তাসনিমা আক্তার। আয়োজকদের পক্ষে আইডিএলসি সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের এসএমই শাখার প্রধান ইন্দ্রজিৎ বর্মণ ও প্রথম আলোর পক্ষে সিলেটের কার্যালয়ের ব্যুরো প্রধান সুমনকুমার দাশ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশ নারী। নারী জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা প্রয়োজন । নারীরা এখন নিজের আত্মপরিচয়ে পরিচিত হচ্ছেন। নারীদের সফলতা অনেকের মনে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, সিলেটে চলতি বছরে দুই দফা বন্যায় অনেক উদ্যোক্তা তাঁদের পূজি হারিয়েছেন। পূজি হারানো উদ্যোক্তাদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ নারী উদ্যোক্তা। তাঁদের পাশে দাড়ানোর জন্য অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সভায় বক্তারা আয়োজন প্রতিষ্ঠানকে তরুণ উদ্যোক্তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে মো. রাশেদুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসাইন, ফাতেমা সুলতানা ও শাহরিয়ার শিশির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সুধীজনদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, স্কলার্স হোম মেজরাটিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক, সাউথ এশিয়ান গ্রাসরুটস ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি হিমাংশু মিত্র, গল্পকার জামান মাহবুব, নাট্যকার মু. আনোয়ার হোসেন রনি ও শিক্ষক প্রণবকান্তি দেব।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারিয়া খানম। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আইডিএলসি-প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার ২০২১’-এর বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সুধীজনের কথার ফাঁকে দেখানো হয় এ বছরের প্রতিযোগিতার ওভিসি (অনলাইন ভিডিও কমার্শিয়াল)। পরে পুরস্কারের জন্য আবেদনের পদ্ধতিও ভিডিওতে দেখানো হয়।
সমন্বিত খামার নিয়ে কাজ করা মো. ইমরান হোসাইন বলেন, ‘শুধুমাত্র সিলেট নগরে প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ লাখ ডিমের প্রয়োজন। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার ডিম। বাকি ডিমগুলো অন্যান্য এলাকা থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। তাই উদ্যোক্তাদের অঞ্চলভিত্তিক পিছিয়ে পড়া ব্যবসায়িক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। এতেই সফলতা আসবে।’
চলতি বছর দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে দ্বিতীয়বারের মতো আইডিএলসি-প্রথম আলো এসএমই পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আগ্রহী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবার কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, উৎপাদনশিল্প খাত ও সেরা নারী উদ্যোক্তা, এই ছয়টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। এ জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক বৈঠক হবে।