মৌলভীবাজারে আইডিয়ার জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৯:৩৯ মিনিটইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এফেয়ার্স আইডিয়া‘র উদ্যোগে চাইল্ডফান্ড কোরিয়া এর অর্থায়নে এবং এডুকো বাংলাদেশ এর সার্বিক সহযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে এক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইডিয়া-এর নির্বাহী পরিচালক নজমুল হক এর সভাপতিত্ত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মো: মীর নাহিদ আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শামসুর রহমান ও মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা: শাহীনা আক্তার।
প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আলোয়-আলো প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহা. আমিনুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: মীর নাহিদ আহসান বলেন, আলোয়-আলো প্রকল্প চা-বাগান ও হাওর এলাকায় যে ইসিডি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন তা অবশ্যই প্রসংশার দাবিদার। ইসিডি শিক্ষা কার্যক্রম আলোয়-আলো প্রকল্প খুব গোছালোভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ০৩ থেকে ০৫ বছরের শিশুদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশে বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা, নাচ-গানের মাধ্যমে আনন্দময় পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। প্রকল্পটি ইসিডি কার্যক্রমের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষনের আয়োজন করে যাচ্ছেন যা এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। আলোয়-আলো প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতকরণের চা-বাগান এলাকায় যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা প্রদান করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, আলোয়-আলো প্রকল্প যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন তার সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো: শামসুর রহমান বলেন, আলোয়-আলো প্রকল্পের কার্যক্রমটি যেসকল চা-বাগানে এখনও চালু হয়নি সেসকল চা-বাগানে চালু করা সম্ভব হলে তা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আলোয়-আলো প্রকল্প শুধু ইসিডি কার্যক্রম নিয়ে কাজ পরিচালনা করে তা নয়।
প্রকল্পটি পুষ্টি, শিশু সুরক্ষা, কিশোর-কিশোরী উন্নয়ন, দূর্যোগ বিষয়ক সচেতনতা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান, চা-বাগান ও হাওর এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, মডেল লাইব্রেরি স্থাপন ও স্টুডেন্ট কাউন্সিল পরিচালনায় সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। উক্ত কার্যক্রমগুলোর মাধ্যমে আলোয়-আলো প্রকল্প গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আলোয়-আলো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শরিফুল আলম বলেন, প্রতিটি প্রকল্প একটি নির্দিষ্ট সময় পরে শেষ হয়ে যায়। আলোয়-আলো প্রকল্পটি যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন সেগুলো স্থায়িত্বশীল করার জন্য কমিউনিটি পর্যায়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইসিডি সহ অন্যান্য কার্যক্রমকে স্থায়িত্বশীল করার জন্য বিভিন্ন স্টেইকহোল্ডারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ চলমান রাখতে হবে। এমসিডা এর প্রধান নির্বাহী তহিরুল ইসলাম মিলন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আলোয়-আলো প্রকল্প শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতকরনের কর্মএলাকায় উদ্যোগ গ্রহন করেছেন যার অগ্রগতি অনেক ভালো। প্রকল্পটি কিশোর-কিশোরী উন্নয়নে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করে যাচ্ছে। উক্ত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শিপন বিশ^াস, পঞ্চায়েত সভাপতি গোপেশ পট্টনায়েক ও কার্তিক নায়েক প্রমূখ।