মেধা বিকাশ ও মননশীলতার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ব্যাপক ভূমিকা রাখে – ড. এ.টি.এম মাহবুব-ই-ইলাহী
ইফতেখার শামীম
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৯:১৫ মিনিট
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ.টি.এম মাহবুব-ই-ইলাহী বলেছেন, পরিবার হচ্ছে সুশিক্ষার অন্যতম সূতিকাগার। শিশুদের প্রাথমিক এবং সুশিক্ষা পরিবার থেকেই শুরু হওয়া দরকার। বর্তমান সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাব্যবস্থার চরম বিপর্যয় চলছে। এজন্য প্রকৃত মেধা বিকাশ ও মননশীলতার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদ আয়োজিত মহররম ও আশুরা উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতা-২০২২ এর পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আজ শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহিদ সুলেমান হলে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি ও অধ্যক্ষ কালাম আজাদ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের প্রকৃতিগত বিহেভিয়ার থেকে আসা আনন্দের রূপায়ন। মহররমের সত্যকে জানতে হবে, জানতে হবে তাঁর দুঃখ ও আনন্দকে। আমাদের শিশুদেরকে ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী ও অনুসন্ধিৎসু করে তুলতে এরকম অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।
প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ চৌধুরী রাজীবের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গোবিন্দগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সাংস্কতিক সংসদের পরিচালক মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিশু সংগঠক এডভোকেট জুনেদ আহমদ, ছড়াকার কামরুল আলম, আবৃত্তিকার মামুন সুলতান, শিল্পী শামসুল হোসাঈন খান ও শিল্পী হেলাল আহমদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শাহরিয়ার আজিজ। সংগীত পরিবেশন করেন দিশারী শিল্পীগোষ্ঠী, অঙ্গিকার সাংস্কৃতিক সংসদ, আল-ফালাহ সাংস্কৃতিক সংসদ ও তারান্নুম শিল্পীগোষ্ঠী।
রচনা প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রæপে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী হলেন যথাক্রমে শাহ মাদিহা জাবিন, নুছাইবা তাবাছ্ছুম নুহা, আহসান সামী ভুইয়া। খ গ্রæপে যথাক্রমে বিলাল উদ্দিন, মাফরোজা বেগম ও সাবিনা আক্তার ঝুমা। গ গ্রæপের বিজয়ীরা হলেন সাখাওয়াত হোসেন, মো. শামসুল ইসলাম ও মুনতাহার জাহান।
স্বাগত বক্তব্যে জাহেদুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, হিজরী নববর্ষ ইসলামি সংস্কৃতির ধারক-বাহক। অথচ হিজরি নববর্ষ নিয়ে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। হিজরি নববর্ষের তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে হবে।