স্মৃতিতে অম্লান- সিলেট বন্ধু আমীনূর রশীদ চৌধুরী
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২২, ৯:২৫ মিনিট
মিলু কাশেম :
৩০ আগস্ট সিলেটের সাংবাদিকতার অন্যতম
পথিকৃত সিলেট বন্ধু আমীনূর রশীদ চৌধুরীর মৃত্যু দিবস।
১৯৮৫ সালের এই দিনে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে।আজ তার প্রয়ান দিবসে তার প্রতি জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা।
আমীনূর রশীদ চৌধুরী এক ক্ষণজন্মা মানুষের নাম।বহুমুখী
প্রতিবার অধিকারী এই মানুষের বিচরণ ছিল
সর্বক্ষেত্রে।সাংবাদিকতা সাহিত্য রাজনীতি শিল্প
সংস্কৃতি সব খানেই ছিল তার সরব উপস্থিতি।
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল কিশোর বয়সে তার
সম্পাদিত পত্রিকা সাপ্তাহিক যুগভেরীর ছোটদের পাতা শাপলার মেলার সাথে সংশ্লিষ্টতার সুবাদে
এই প্রিয় মানুষটিকে কাছ থেকে দেখার।
আমীনূর রশীদ চৌধুরী সাহেবকে আমি আমার ছেলেবেলা থেকেই চিনতাম।আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা হিসাবে তার বাসা “জ্যোতি মঞ্জিল “এর সামনে দিয়ে আমি প্রতিদিন যাওয়া আসা করতাম।এই বাড়ীটি ছিল সিলেটের একটি অভিজাত বাড়ী।উল্লেখ্য এই বাড়ীতেই ২৩ মার্চ ১৯৭১ সালে সিলেটের প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা প্রথম উত্তেলিত হয়েছিল।যার কারনে ৭১ সালে পাক বাহিনীর হাতে আমীনূর রশীদ চৌধরী বন্দী হন।দীর্ঘ দিন তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় পাক বাহিনী ক্যাম্পে।
আমীনূর রশীদ চৌধুরী কে ডাকা হতো সিলেট বন্ধু। সিলেটের ন্যায্য দাবি দাওয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সারা জীবন স্বেচ্চার।সেই পাকিস্তান আমল থেকে তিনি ছিলেন “জালালাবাদ প্রদেশ “
আন্দোলন এর পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সিলেট প্রেসক্লাব
এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
জ্যোতি মঞ্জিলে প্রতিদিন ছিল কোন না কোন ভিআইপি র আনাগোনা।নানা প্রজাতির ফুল বৃক্ষরাজি শোভিত প্রকৃতি ঘেরা জ্যোতি মঞ্জিল এর প্রতি দূর্বার আকর্ষন আমার ছেলেবেলা থেকেই।এই বাড়ীর মালিক আমীনূর রশীদ চৌধুরী সৌম্য দর্শন সুপুরুষ খ্যাতিমান মানুষ।মাঝে মাঝে গাড়ীতে করে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে তাকে দেখতাম।
১৯৭৩ সালে আমীনূর রশীদ চৌধুরী সম্পাদিত
পত্রিকা যুগভেরীতে চালু হয় ছোটদের পাতা
“শাপলার মেলা”।যুগভেরীতে তখন কাজ করতেন
সাংবাদিক অজয় পাল, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
অজয় পাল ছিলেন শাপলার মেলার প্রথম পরিচালক “মিতা ভাই”।১৯৭৩ সালে শাপলার মেলায় আমার প্রথম লেখা ছাপা হয়।যুগভেরী অফিস আমাদের এলাকায়
হওয়ায় আমি হাতে হাতে লেখা দিয়ে আসতাম অফিসে।এভাবে পরিচয় অজয় পাল মাহবুবুর রহমান প্রমুখের সাথে।এক সময় তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।কিছুদিন পর অজয় পাল যুগভেরী ছেড়ে চলে গেলে শাপলার মেলার দায়িত্ব পেলেন মাহবুবুর রহমান।মিতাভাই পরিচয়ে তিনি ছিলেন শাপলার মেলার পরিচালক।শাপলার মেলা তখন সিলেট অঞ্চলের জনপ্রিয় ছোটদের পাতা।লেখালেখির সুবাদে আমি, আজিজ আহমদ সেলিম,নূরুজ্জামান মনি,আবু বকর হানিফ প্রমুখ নিয়মিত যাতায়াত করতাম যুগভেরী অফিসে।
এ ভাবে আমরাও জড়িয়ে পড়লাম শাপলার মেলার সাথে।যুগভেরীতে সে সময় কাজ করতেন প্রয়াত বুদ্ধ দেব চৌধুরী,তুষার কর,বিদ্যুৎ কর,হামিদ মোহাম্মদ, গিয়াস উদ্দিন আউয়াল,পরেশ দেব নাথ,ফজলুল করিম অপু,টিপু মজুমদার প্রমুখ।
সে সময় মাহবুব ভাই আমাদের সাথে পরামর্শ করে শাপলার মেলাকে নতুন আঙ্গিকে সাজাবার উদ্যোগ নিলেন এবং পাতা সাজাবার দায়িত্ব আমাদের কয়েকজনের হাতে দিয়ে দিলেন।
প্রতি মাসে শাপলার মেলার উদ্যোগে আমরা আয়োজন করতাম সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।মাহবুব ভাই একদিন শাপলার মেলার একটি বড় অনুষ্ঠান করা উপলক্ষে আমাদেরকে
নিয়ে গেলেন জ্যোতি মঞ্জিলে যুগভেরী সম্পাদক
আমীনুর রশীদ চৌধুরী ও মিসেস ফাহমীদা রশীদ চৌধুরীর কাছে।সেদিন প্রথম আমার আমীনূর রশীদ চৌধুরীর সাথে কথা বলার সুযোগ হলো।
আমরা তাদেরকে আমাদের পরবর্তী অনুষ্ঠানে
অতিথি হবার আমন্ত্রণ জানালাম।তিনি সানন্দে
রাজী হলেন।সেদিন আমাদের প্রত্যকের নাম জানতে চাইলেন তিনি।সেদিন আমরা থাকা অবস্থায় চৌধুরী সাহেব তার অফিসের একজনকে ডেকে বলে দিলেন আমাদের অনুষ্ঠানের খরচ এবং শিশু কিশোরদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে।সেদিন থেকে আমরা কয়েক জনের সাথে তার সরাসরি পরিচয় হয়ে গেল।শাপলার মেলা কেন্দ্রীক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের
কাজে আমরা যেতাম তার কাছে।আমাদের প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করতেন।শাপলার মেলা অনুষ্ঠানে পঠিত বাছাইকৃত লেখা দিয়ে আমরা “শাপলা” নামে
রঙিন লেখায় রেখায় সজ্জিত একটা
চমৎকার দেয়াল পত্রিকা বের করতাম।পর্যায়ক্রমে শাপলা সম্পাদনা করতাম আমরা কয়েকজন।শাপলার অঙ্গ সজ্জার দায়িত্ব পালন করতো আমাদের প্রয়াত বন্ধু আবু বকর মোহাম্মদ হানিফ।বিদেশি ম্যাগাজিনের রঙিন পাতা কেটে অপরূপ সাজে সাজানো হতো শাপলা কে।শাপলা র প্রথম সংখ্যা বের হলে
আমি,আজিজ আহমদ সেলিম,নূরুজ্জামান মনি,
আবু বকর হানিফ শাপলা দেয়াল পত্রিকাটি নিয়ে যাই আমীনুর রশীদ চৌধুরীর বাসভবনে তাকে দেখাতে।তিনি চমৎকার এই শাপলা দেখে অভিভূত হয়ে পড়লেন।তার দামি ক্যামেরা দিয়ে
শাপলা র অনেক ছবি তুললেন।সাথে আমাদেরও
ছবি।সেদিন আমি তার ছবি তোলার মুন্সিয়ানা
দেখে বুঝতে পারলাম তিনি একজন উঁচুমানের
ফটোগ্রাফার। সেদিন তিনি শাপলা দেয়াল পত্রিকাটি
তার অভিজাত বারান্দায় সাজিয়ে রেখে দিলেন।
এভাবে প্রতিটি সংখ্যা আমরা তার কাছে নিয়ে যেতাম। তিনি অনেক ছবি তুলতেন প্রতিটি সংখ্যার। আর সাজিয়ে রাখতে তার বারান্দায়।
তার বাসায় আগত অতিথিরা শাপলা দেখে মুগ্ধ হতেন।
একবার দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক আখতারুল আলম (লুব্দক)সিলেট সফরে এসে আমীনুর রশীদ চৌধুরীর বাসভবনে শাপলা দেয়াল পত্রিকা দেখে মুগ্ধ হলেন।তিনি ঢাকায় ফিরে দৈনিক ইত্তেফাকে তার নিয়মিত কলাম “স্থান কাল পাত্র”
তে লিখলেন “সিলেট বেড়াতে গিয়ে সিলেটের
প্রাকৃতির মত সুন্দর শাপলা দেয়াল পত্রিকা দেখে মুগ্ধ হলাম।”
আমীনুর রশীদ চৌধুরী সাহেব আখতারুল আলমের লেখা পড়ে খুব খুশি হলেন।তিনি আমাদের ডেকে নিয়ে ইত্তেফাকের সেই সংখ্যাটি উপহার দিয়ে সংগ্রহে রাখতে বললেন।উল্লেখ তার
বাসায় প্রায়ই আসতেন কবি সুফিয়া কামাল। তিনিও আমাদের
শাপলা দেখে মুগ্ধ হয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
শাপলার সুবাদে প্রতি মাসে তার সাথে আমাদের দেখা হয়ে যেত।এভাবে আমাদের সাথে তিনি অনেকটা ফ্রি
হয়ে গেলেন।খুব আমোদে ফুর্তিবাজ মানুষ ছিলেন আমীনূর রশীদ চৌধুরী ।মাঝে মাঝে একা থাকলে আমাদেরকে বসিয়ে গল্প জুড়ে দিতেন, তার ছেলেবেলা তারুণ্য যৌবনের নানা স্মৃতি চারণ করতেন।১৯২৯ সালের গান্ধি আন্দোলন, কারাবরণ, উপমহাদেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ কবি,লেখক,সাংবাদিক, শিল্পীদের সাহচর্যের গল্প।কোন দিন আমি আর হানিফ
দীর্ঘ সময় বসে থাকতাম তার মজার মজার গল্ল শুনার জন্য।
১৯৭৬-৭৭ সালে যুগভেরী অফিসে শাপলার মেলার ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আমরা আয়োজন করেছিলাম দু’টি স্মরণীয় অনুষ্ঠানের।এসব অনুষ্ঠানে কবি দিলওয়ার,স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম
প্রতিষ্ঠাতা কবি বেলাল মোহাম্মদ, আজিজুল মালিক চৌধুরী প্রমুখের সাথে আমীনুর রশীদ চৌধুরী ও মিসেস ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী উপস্থিত থেকে আমাদের অনুপ্ররনা জুগিয়েছিলেন।সেদিন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের নিয়ে কিছু গ্রুপ ছবি তোলা হয়।যা অনেকদিন আমার কাছে সংরক্ষিত ছিল।সেসব স্মরণীয় অনুষ্ঠানের স্মৃতি আজও আমার মনে জাগ্রত আছে।
আমীনুর রশীদ চৌধুরী সাহেবের সাথে আমার যোগাযোগ
আরেকটু বেড়ে যায় ১৯৮০ সালে সিলেটে বাংলা একাডেমীর বিক্রয় কেন্দ্র খোলা নিয়ে।
তৎকালীন বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক
ড.আশরাফ সিদ্দিকী ছিলেন আমীনুর রশীদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন। তিনি তাকে অনুরোধ করলেন সিলেট বাংলা একাডেমির একটি বিক্রয় কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নিতে।চৌধুরী সাহেব বিষয়টি কবি দিলওয়ারে সাথে আলাপ করলেন এবং একটি ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানালেন।
কবি দিলওয়ার আমাকে এবং নূরুজ্জামান মনি কে দায়িত্ব দিলেন বাংলা একাডেমির বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য একটি ঘর খোঁজে বের করতে।
আমরা যুগভেরী অফিসের কাছাকাছি একটি
ঘরের ব্যবস্থা করলাম।কবি দিলওয়ার কে বিস্তারিত জানালে তিনি আমার মারফত একটি চিঠি পাঠালেন আমীনুর রশীদ চৌধুরীর কাছে।
১৭-০৬-১৯৮০ সালে সাদা কাগজে লেখা চিঠিতে
কবি দিলওয়ার লিখলেন-
“প্রিয় আমিন ভাই,শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন
রইলো।
বাংলা একাডেমির বিক্রয় কেন্দ্র রূপে ব্যবহারোপযোগী একটা ঘর আপনার কাছাকাছি পাওয়া গেছে মিলু ও মনির সৌজন্যে।বাদবাকি মিলুর কাছ থেকে জেনে নিবেন।এবং আপনার করনীয় কিছু থাকলে করবেন।আমার জীবনে ফলপ্রসু সহযোগীতার অভাব এতো বেশী যে নিজের কাছে নিজেকে বড্ড লজ্জিত মনে হয়।মৃত্যুর পর কেউ যেন আমার
উপর নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ না আনেন।সিলেট দীর্ঘজীবি
হও। ইতি- আপনাদের দিলওয়ার।
আমরা পরদিন ১৮-০৬-১৯৮০ তারিখে দিলওয়ার ভাইয়ের চিঠি নিয়ে আমীনুর রশীদ চৌধুরীর সাথে দেখা করতে গেলাম তার বাসভবনে। সেদিন তিনি দীর্ঘ সময় আমাদের সাথে বাংলা একাডেমীর বিক্রয় কেন্দ্র খোলার বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করলেন।পরে তাকে লেখা দিলওয়ার ভাইয়ের চিঠির নিচের অংশে তিনি আবার দিলওয়ার ভাইকে একটা
চিঠি লিখে আমার হাতে দিলেন।
তিনি লিখলেন – ” দিলওয়ার ভাই। মিলু ও মনির
সাথে আলাপ করিয়া ও আমার অফিসের জনৈক
কর্মীর সঙ্গে আলোচনায় বুঝিলাম অবস্থাধীন এই
ভাড়াই দিতে হইবে বাংলা একাডেমিকে।আমারও
একটা সুবিধা হইবে পায়ে হাটিয়া বই কিনিতে পারিব।পেট্রোলের দাম ডবল হইলেও এই কারনে কোন খেদ থাকিবে না।
শুভেচ্ছান্তে আমীনূর রশীদ চৌধুরী-১৮/৬/৮০”
বাহক হিসাবে সেই চমৎকার চিঠি আমরা আবার
নিয়ে গেলাম কবি দিলওয়ারের কাছে।
একই কাগজে কবি দিলওয়ার ও আমীনূর রশীদ চৌধুরীর হাতে লেখা সেই মূল্যবান চিঠি আমার কাছে আজও সযত্নে রক্ষিত আছে।
পরবর্তীতে আমীনূর রশীদ চৌধুরী বাংলা একাডেমির বিক্রয় কেন্দ্র চালুর ব্যাপারে বিস্তারিত অবগত করার জন্য আমাকে ও মনিকে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন বাংলা একাডেমীর
মহাপরিচালক ড.আশরাফ সিদ্দিকীর কাছে।
১৯৮০ সালের ২ নভেম্বর আমীনূর রশীদ চৌধুরীর সান্নিধ্যে আমার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন।সেদিন একটি অনুষ্ঠানে
দীর্ঘ সময় আমি আমীনূর রশীদ চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারল আতাউল গনি ওসমানীর সান্নিধ্য পেয়েছিলাম।এক সাথে ছবি তুলেছিলাম দুই প্রিয় মানুষের। অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম দু’জনের।
আমীনূর রশীদ চৌধুরী আমার অটোগ্রাফ বুকে
লিখেছিলেন-” স্বদেশকে ভালোবাসিবে”
আমীনূর রশীদ চৌধুরী-০২-১১-১৯৮০ ইং।
যা আমার কাছে জীবনের সুন্দর স্মৃতি হিসাবে
সংরক্ষিত আছে।
এর কিছু দিন পর আমি চলে গেলাম ইউরোপ প্রবাসে।আমীনূর রশীদ চৌধুরীর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হলাম।
আমার দীর্ঘ প্রবাস জীবন কালে ১৯৮৫ সালের ৩০ আগস্ট তিনি মৃত্যু বরন করেন।আমীনূর রশীদ চৌধুরী বেঁচে নেই।কিন্তু তার সান্নিধ্যের স্মৃতিগুলো আজও আমার স্মৃতিতে অম্লান।
আমীনূর রশীদ চৌধুরীর বাসভবন জ্যোতি মঞ্জিল এর সামনে দিয়ে আমি প্রতিদিন যাওয়া আসা করি। বাড়ীটির দিকে চোখ পড়লেই মনে পড়ে সেই মানুষটির কথা এবং সেই সব
স্মৃতি।চোখের সামনে ভাসে সেই সুন্দর প্রাণোচ্ছল হাসিমাখা মুখটি।আজ তার প্রয়ান দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা সিলেট
বন্ধু আমীনূর রশীদ চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি।