সিসিক ও সওজ এর অভিযানের বিষয়ে মদিনা মার্কেটে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২২, ১০:০৭ মিনিট
সিলেট নগরীতে সিসিক ও সওজ এর চলমান অভিযানের বিষয়ে এক মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ই আগস্ট) বাদ এশা নগরীর মদিনা মার্কেটে এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মদিনা মার্কেটের প্রতিষ্টাতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক খাঁন এর জৈষ্ঠ পুত্র আল মদিনা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির মোতওয়াল্লি খলিলুর রহমান খাঁন এর সভাপতিত্বে ও সেলিম আহমদ শিবলীর পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাস, মোগলগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হিরন মিয়া মার্কেটের মালিক হিরন মিয়া, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শানুর মিয়া।
এ সময় ভূমি মালিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, আসাদ ম্যানশনের মালিক মোঃ এনাম আহমদ, শাহজালাল সুপার মার্কেটের মালিক মিসবাউর রহমান, হিরন মার্কেটের মালিক হিরন মিয়া, পঞ্চ শাপলা মার্কেটের মালিক আবণ মিয়া, ইকবাল ম্যানশনের মালিক এডভোকেট মনিরুজ্জামান সেলিম।
সভায় সবার সর্বসস্মতিক্রমে ১১সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন, আহবায়ক হলেন মোগলগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিরন মিয়া, সদস্য সচিব কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, শ্রী জগদীশ চন্দ্র দাস, খলিলুর রহমান খাঁন, রফিকুল ইসলাম বাদল, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল বাছিত মহসিন, এনাম আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল বাছিত মহসিন, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল মোমিন, হাবিবুর রহমান, তানিম আহমদ, আতিকুর রহমান আতিক, মিজানুর রহমান জিতু, আলী আহমদ, বশির আহমদ, শাহাবুদ্দিন আহমদ, মানিক মিয়া, আব্দুল আহাদ, সাইদুল ইসলাম, হাজী বাদল মিয়া, জাবেদুর রহমান জাহেদ, মাসুক মিয়া, জাকির আহমদ, এ সময় অত্র এলাকার ব্যবসায়ী, মার্কেট মালিক, বাড়ির মালিকসহ একাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ খলিলুর রহমান খান বলেন, “বেশ কিছু দিন যাবৎ পাঠানটুলা এলাকা থেকে আখালিয়া পর্যন্ত সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের পাশের স্থাপনাগুলির উপর এক নৈরাজ্য ও খামখেয়ালিভাবে উচ্ছেদ অভিযান চলিতেছে যা খুবই দুঃখজনক ও অমানবিক। সিসিক ও সওজ নিয়মনীতি না মেনে হঠাৎ বোলডোজার নিয়ে বাসায় উপস্থিত। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। পত্রিকা, মাইকিং, গণবিজ্ঞপ্তি সম্পত্তির নোটিশ হতে পারে না। সড়ক উন্নয়নের প্রয়োজন হলে আলাপ আলোচনার বা মাধ্যমে গোল্ডন- হ্যান্ডশেক এর মাধ্যমে হতে হবে।
সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের রাস্তার পাকা অংশ পরে ও সড়কের মূল সীমানায় যথেষ্ট ভূমি রয়েছে। ১৯৭২-৭৩ সালের যে প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ করা হয় সেই প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। ভূমিও মালিক বরাবরে ফেরত প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে অফিসিয়ালি ফরমালিটি করেন নাই, এই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে এ হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সাধারনত মানুষকে যেন হয়রানি করা না হয়। যেমন – আমানি সেন্টার, ওয়ালটন, হাতিমতাই, কামরুল ম্যানশন, খালিক ম্যানশন, খান বাজার ফলের মার্কেট এবং মসজিদ এর ভূমি অবমুক্ত করা আছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেখানেও সওজ ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক লাল দাগ দেওয়া হয়েছে। শুধু দাগ দিয়ে নয় তারা বোলডোজার নিয়ে ভাঙার জন্য রীতিনীতি হাজির। এটাকে অন্যায়, বেআইনী, অমানবিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা যায়।
এছাড়া সরকারের একটি বিধান রয়েছে, যে প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়, সেই প্রকল্প বাতিল হয়ে গেলে উক্ত ভূমি মূল মালিক বরাবরে ফেরত প্রদান করা হয়।