দেশের একটি স্বনামধন্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন সাইদ। তারপর ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) করতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরবর্তী সময়ে তিনি মালয়েশিয়া মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) করেন।বিদেশে পড়া অবস্থায় বিভিন্ন মাদকের সঙ্গে পরিচিত হন সাইদ। দেশে ফিরে প্রথমে বাবার টেক্সটাইল ব্যবসা দেখাশোনা শুরু করেন সাঈদ।বাবার ব্যবসায়ের পাশাপাশি দেশে নতুন ধরনের মাদকের প্রচলন ও বাজার সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা অনুসারে ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে নানা ধরনের মাদক নিয়ে আসতেন। দেশের বিভিন্ন অভিজাত পার্টিতে তিনি এসব মাদক সরবরাহ করতেন।
সাইদ নিজে ধূমপান ও মদে আসক্ত ছিলেন। কিন্তু গবেষণা করতেন বিভিন্ন নতুন প্রজাতির মাদক নিয়ে। নিজের বাসায় মাদক উৎপাদনের প্ল্যান্ট তৈরি করেন। তার ইচ্ছা ছিল নতুন মাদক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। হতে চেয়েছিলেন মাদক বিজ্ঞানী। কীভাবে নতুন ধরনের মাদক সেবন করা যায়, তার জিনিসপত্র কী হবে সেটিও পরিকল্পনা করতেন সাইদ।
গবেষণা করে নতুন মাদক ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওনাইসী সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদ (৩৮) আটক করেছে র্যাব। সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে কুশ, হেম্প, মলি, এক্সট্যাসি, ফেন্টানলের মতো মাদক জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোমবার রাতের অভিযানে সাইদের গুলশানের বাসা থেকে ১০১ গ্রাম কুশ, ৬ গ্রাম হেম্প, ০.০৫ গ্রাম মলি, ১ গ্রাম ফেন্টানল, ১৮ গ্রাম কোকেন, ১২৩ পিস এক্সট্যাসি, ২৮ পিস এডারল ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব। এ ছাড়া তার বাসা থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল, সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
অফিসঃ সিলেট সিটি সেন্টার, রুম- ৯০৬ (এ), ৯ম তলা,জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩৪৬৪১, ০১৭৩০১২২০৫১
email : syfdianews@gmail.com