ওসমানীনগরে খাবারে বিষ মেশানো ঘিরে তদন্তে পুলিশ
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুলাই ২০২২, ৯:৩৯ মিনিট স্বজনদের দিকেই সন্দেহের তীর। ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারের ট্র্যাজেডির ঘটনায় নানামুখী তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সঙ্গে রয়েছে একাধিক সংস্থাও। স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সহসাই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানীনগরের তাজপুরের স্কুল রোডের বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় এক পরিবারের ৫ সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে মারা যান প্রবাসী পরিবারের কর্তা রফিকুল ইসলাম ও প্রতিবন্ধী ছোট ছেলে মাহিকুল ইসলাম। এদিকে ঘটনায় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। স্বজনরাও এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারছেন না। প্রশ্ন হচ্ছে- ঘটনার দিন রাতে ওই বাসায় দুই পরিবারের ১০ জন ছিলেন। এর মধ্যে লন্ডনি রফিকুলের পরিবারের সবাই আক্রান্ত হন। অন্যরা অক্ষত। ঘর ছিল তছনছ করা। দুই লাশ সহ আহত ৩ জনের দেহ ছিল এলোমেলো রাখা।
ঘটনার পর নিহত শফিকুলের শ্বশুর আনফর আলীকে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে।
নিহত শফিকুলের শ্বশুর আনফর আলীকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি বলেন- ‘রাতে তার মেয়ে, জামাই, দুই নাতি ও এক নাতনি সহ ৫ জনই ভাত খাননি। তারা বাজার থেকে আনা বার্গার এবং লন্ডন থেকে জুস জাতীয় খাবার খেয়েছেন। আর তাদের পরিবারের ৫ জনই রান্না করা ভাত খেয়েছেন। পরদিন চক্ষু হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রাত ১০টার মধ্যে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। সকালে ঘুম থেকে যখন ডাকাডাকি করেন তখন দেখতে পান ঘরের ভেতরে সবাই অচেতন।’ তিনি আরও জানান- বাবা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মারা যাওয়া ছোট ছেলে মাহিকুল ইসলাম ছিল কিছুটা প্রতিবন্ধী। মাহিকুলকে চিকিৎসা করাতে রফিকুল ইসলাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশে এসেছিলেন।