ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুলাই ২০২২, ৫:৪৬ মিনিট
সম্প্রতি তীব্র গরম ও তাপদাহে ভয়াবহ বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এবং হোটেল সেক্টরে শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করে নিম্নতম মূল মজুরি কাঠামো ঘোষনা হোটেল সেক্টরে শ্রম আইন বাস্তবায়ন , মুনাফার স্বার্থে সকল ক্ষেত্রে শ্রমিক ছাঁটাই, চাকুরিচ্যুতিসহ সকল ধরনের অন্যায়, জুলুম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে গতকাল বিকেল ৫টায় নগরীতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন। মিছিলটি ক্রিণ ব্রীজের মুখ (উত্তর পার) থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার পয়েন্ট, লামাবাজার পয়েন্ট, রিকাবী বাজার হয়ে সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিকেল কলেজের ১ নং গেইটের সামনে এসে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর পরিচালনায় এক সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, RvZxq গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির অন্যতম নেতা শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন’র কোষাধ্যক্ষ মুহিদুল ইসলাম, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ খান ভূইয়া, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ- সভাপতি আব্দুল মুমিন রাজু, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো শাহীন মিয়া সহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন: সরকারের তথাকিথত উন্নয়ন হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে এসডিজি কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবাধ লুটপাটের মেগা প্রকল্প। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের মূল্য ও নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধি করে শ্রমিক, শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষ ও ব্যাপক জনগণের জীবন ও জীবিকাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রেই লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি ঘটলেও শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আয় বাড়েনি । সরকার একদিকে ব্যাপক উন্নয়নের সাফাই ও ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি করে বিপর্যয়ে জনগণের সহানুভূতি তোয়াক্কা না করে খরচ বাঁচানোর কথা বলা তামাশা ছাড়া কিছু হতে পারে না। কারণ জনগণ টাকা দিয়েই বিদ্যুৎ ক্রয় করে ও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারে বেশি বিলও পরিশোধ করে থাকে। হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মূল মজুরি ঘোষণা, ৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি, নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রম আইন বাস্থবায়ন, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান এবং করোনার অজুহাতে কাজ না দেয়া শ্রমিকদের পূর্ণ মজুরিসহ চাকরীতে পুনর্বহাল, বেকার শ্রমিকদের কাজ, খাদ্য,চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলে মালিক, সরকার ও প্রশাসনের দালাল সুবিধাবাদীদের প্রত্যাখ্যান করে সৎ,সংগ্রামী, আপোষহীন শ্রেনিসচেতন নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।