কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ বলেছেন, বর্তমান সিলেটের শুদ্ধতম কবি হলেন আশরাফ হাসান। নব্বইয়ের দশকে সিলেটের সাহিত্যাঙ্গনে তিনি যেভাবে তরুণ লেখকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন সুদূর আমেরিকা প্রবাসী হয়েও তিনি এখন বিশ^সাহিত্যে অবদান রাখা শুরু করেছেন। কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক, আমেরিকা প্রবাসী কবি আশরাফ হাসানকে নিয়ে অন্তরঙ্গ আড্ডা ও কেমুসাসের ১১১৫তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কবি আশরাফ হাসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনে অবদান রেখে যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, প্রবাসে গিয়ে আমি জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি। মানুষকে ঘৃণা নয় ভালবাসতে হবে, লিখতে হবে বিশ^ সমাজের কল্যানের জন্য। কবিতার জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে হয়। বিশ^ায়নের যুগে প্রতিভা বিকশিত হয় এবং আগামী দিনের সাহিত্য হবে মানুষের কল্যাণের জন্য।

গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই ২০২২) সন্ধ্যায় সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে কেমুসাসের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও ঈদ পরবর্তী ১১১৫তম সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর উদ্বোধন করেন কেমুসাসের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু, আল ইসলাহ সম্পাদক সেলিম আউয়াল। পঠিত লেখার উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, সাবেক আল ইসলাহ সম্পাদক অধ্যক্ষ কবি নাজমুল আনসারী। নব্বই দশকের সিলেটের সাহিত্য আসর ও কবি আশরাফ হাসানের সাহিত্যকর্ম নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন মাসিক শাহজালাল সম্পাদক রুহুল ফারুক, কবি ও ব্যাংকার শাহেদ আব্দুর রকীব, ছড়াকার কামরুল আলম, গল্পকার মিনহাজ ফয়সল প্রমুখ।

আসরে স্বরচিত লেখাপাঠে অংশ নেন ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, কবি ছয়ফুল আলম পারুল, শায়খ তাজুল ইসলাম আউয়ালমহলী, মোহাম্মদ ইসমাইল, শামসীর হারুনুর রশীদ, আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, জুবের আহমদ সার্জন, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান, নাঈমা চৌধুরী, ইমরান ইমন, আতাউর রহমান বঙ্গী, মকসুদ আহমদ লাল, মাজহারুল ইসলাম মেনন, জুবায়ের নাবিল, জাকওয়ান সালেহ ও লিলু মিয়া। নাঈমুল ইসলাম গুলজারের উপস্থাপনায় আসরের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি কামাল আহমদ। সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব ফেরদৌস মরমী সাধক মকদ্দস আলী উদাসী ও সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর আম্মার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যুবরণকারী সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সিলেট অঞ্চলের কবি সাহিত্যিকসহ সকলের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।