সিলেটএক্সপ্রেস--টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট জুড়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার ২২০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড। গত ২৮ জুন ব্যাংকের এমডি এন্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে ব্যাংকের পরিচালক মেশকাত আহমেদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। জনতা ব্যাংকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুল ওয়াদুদের তত্ত্বাবধানে ব্যাংকের এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ২৮ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত হয়। ধারাবাহিকভাবে সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শিমুলিয়া আশ্রায়ণ প্রকল্প ও লম্বাকান্দি গ্রাম, সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ধনপুর, গোবিন্দপুর, জাঙ্গাইল গ্রাম এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের খাটকাই, মেহেরপুর, বসন্তপুর, কালিকৃষ্ণপুর গ্রামে, সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হাওড় বেষ্টিত মোহনপুর ইউনিয়নের উজান রামনগর, রহমতপুর, নোয়াগাঁও, মোড়ারবন্দ গ্রামে এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া, জয়কলস. তেঘারিয়া গ্রাম ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মুল্লা পাড়া ইউনিয়নের সরদাবাজ, বলাউরা, দরিয়াবাজ গ্রাম ও সদর উপজেলার বুরহাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি, ব্রাহ্মনগাঁও, ছাতক উপজেলার ছাতক ইউনিয়নের চাইরছিরা, বাউসাসহ কয়েকটি গ্রাম, দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পান্ডারগাঁও, আফছরনগর, পুরাণকৃষ্ণ নগর, পলিরচর, ইসলামনগর গ্রাম এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের রাঙ্গাউটি সফরপুর, আরেঙ্গাবাদ, দোহালিয়া, গাংকুল গ্রামে এসকল ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
জনতা ব্যাংক সিলেট বিভাগীয় কার্য্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে জনতা ব্যাংক সিলেটের তিনটি জেলার ২২০০টি পরিবারের মধ্যে ২২০০টি প্যাকেটে ৩৫ হাজার কেজি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। প্রতিটি প্যাকেটে ছিলো চাল, ডাল, তেলসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। এসব কার্যক্রম সফলে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।