নাজিম হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং প্রধান আসামী আটক
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০২২, ৫:৪৩ মিনিট
গত ১৩ জুলাই বুধবার কানাইঘাট থানাধীন রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত খালাইউরা নামক স্থানে সুরমা নদীর পাড়ে একটি অজ্ঞাতনামা মৃত দেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। স্থানীয় অনুসন্ধানে জানা যায় মৃতদেহটি নিজ রাজাগঞ্জ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র নাজিম উদ্দিনের। মৃত দেহের প্রাথমিক অবস্থা দেকে পুলিশ নিশ্চিত হয় একটি হত্যাকান্ড। বিষয়টি সিলেট জেলার পুলিশ সুপার (এ্যাডিশনাল ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নজরে আসলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহরিয়ার বিন সালেহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি এন্ড মিডিয়া) মো: লুৎফর রহমান ও কানাইঘাট সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো: আব্দুল করিম এর সমন্বয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রকৃত আসামী গ্রেফতারে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কমিটির সদস্যরা কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা রুজু পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই/দেবাশীষ শর্মাকে ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্ধারের জন্য প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। একপর্যায়ে সিলেট জেলা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তি ইউনিট ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার মহরম আলীর পুত্র রুহেল আহমমেদ@রেকেল কে গত ১৮ জুলাই সোমবার আটক করা হলে সে পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরন প্রদান করে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় ভিকটিম নাজিম ও রুহেল এর মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যে তারা বাহির থেকে নারী এনে অসামাজিক কাজ করতো। ঈদ পরবর্তী সময়ে ভিকটিম নাজিম আসামী রুহেলকে পতিতা আনার জন্য বললে সে তা আনতে পারেনি। এক পর্যায়ে ভিকটিম নাজিম মেয়ে সংগ্রহ করতে না পারলে তার বন্ধু রুহেলের স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য বলে। এ কথা বলার পর রুহেল এশার নামাজের ঠিক পরপর নদীর পাড়ে এসে দু জনে সিগারেট খাবার এক পর্যায়ে নাজিম রুহেলকে তার স্ত্রীকে আনার কথা জিজ্ঞাসা করলে পূর্ব হতে লুকিয়ে রাখা মুগর দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাতে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরে আসামী রুহেল ভিকটিমের লোন উত্তোলণের নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট জেলার মিডিয়া মুখপাত্র মো: লুৎফর রহমান বলেন, মামলা রুজু পরবর্তী সময়ে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনা আমাদের আসামী শনাক্তে যথেষ্ঠ অনুপ্রাণিত করেছে। সিলেট জেলা পুলিশের সদস্যরা অপরাধ দমন এবং অপরাধ নিবারণে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের প্রমাণ রেখেছে।